শিক্ষার্থীদের মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলার দায়িত্বও থাকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাঁধে। শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু মানসিক বিকাশে বাবা-মা যতটা বাহবা পান, স্কুলের শিক্ষকরাও সেই একই বাহবার প্রাপ্য। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকারাই যদি ভুল পথে চলেন? তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে এবার। স্কুলের ভেতরেই এক শিক্ষিকাকে জড়িয়ে ধরে রোমান্স করছেন প্রিন্সিপাল, চলছে কোলে তুলে রোমান্সও। আর সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এতে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক শোরগোল।
এদিকে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে। গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নাল। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর থেকে একটি লজ্জাজনক ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে একজন অধ্যক্ষকে স্কুল শিক্ষিকার সাথে অশ্লীল কাজে লিপ্ত হচ্ছেন বলে ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ঘটনাটি শিক্ষক ও অধ্যক্ষদের সম্মানিত সামাজিক অবস্থানকে কলঙ্কিত করেছে। জৌনপুরের একটি কনভেন্ট স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে ওই অধ্যক্ষ এবং শিক্ষিকার অশ্লীল কাজে লিপ্ত হওয়ার ভিডিও গত রোববার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যা স্কুল এবং ওই অঞ্চলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যদিও ঘটনাটি কবে ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। সংবাদমাধ্যম বলছে, সম্প্রতিই উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের একটি বেসরকারি স্কুলে প্রিন্সিপাল ও শিক্ষিকার ঘনিষ্ঠতার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, স্কুলের প্রিন্সিপাল নিজের অফিসে এক শিক্ষিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন। দুজনেরই সম্মতিতেই যে শারীরিক সম্পর্ক হচ্ছে, তা ভিডিও দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তবে কে ভিডিও রেকর্ড করেছে, তা জানা যায়নি।
এছাড়া যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেই ঘরের দেওয়ালে ভারতের বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন অভিনন্দন বর্তমান, অটল বিহারী বাজপেয়ী, মহারানা প্রতাপ এবং শহীদ ভগৎ সিং-এর মতো বিখ্যাত ব্যক্তিদের ছবি রয়েছে বলে ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে অভিযুক্ত ওই প্রিন্সিপাল দাবি করেছেন, এটি পুরোনো ভিডিও। তার দাবি, ভিডিওটিকে এডিট করে ভাইরাল করা হয়েছে। বদনাম করার জন্য তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
তবে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, প্রিন্সিপাল নিজেই ভিডিওটি ভাইরাল করেছেন। যেহেতু তার অফিসের ভেতরেই ভিডিওটি রেকর্ড করা, তাই তিনিই এই ভিডিওটি রেকর্ড করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তারা। দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষিকা ও অধ্যক্ষের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল বলেও উল্লেখ করা হচ্ছে।
এদিকে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও পুলিশি পদক্ষেপের খবর পাওয়া যায়নি এবং এই ঘটনার বিষয়ে কোনও এফআইআর বা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কিনা সেটিও স্পষ্ট নয়। মূলত শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের রোল মডেল হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ছাত্রদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার কাজও তারাই করেন। অভিভাবকদের বিশ্বাস, সন্তানদের স্কুলে পাঠালে তারা নিরাপদ হাতে থাকে। আর তাই এই ধরনের ঘটনাগুলো স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং মঙ্গল নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি করেছে।